প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিযোগিতা, পুরস্কার
বিজবার্তা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্লাস্টিক বর্জ্য ও সামুদ্রিক আবর্জনায় চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ। জনস্বাস্থ্য ও টেকশই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য হুমকিস্বরূপ। নিরাপদ উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরীর বিকল্প নেই।
এসএমই ফাউন্ডেশন ও ইউনিডো, বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে এবং নরওয়ে দূতাবাসের সহায়তায় ‘প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রতিযোগিতা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন তাগিদ দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান।
সকালে আগারগাঁও পর্যটন ভবনে অনুষ্ঠানে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা-ইউনিডো, বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেয়া হয়। নির্বাচিত উদ্যোক্তাদের পুরস্কার দেয়া হবে মোট ৫৪ লাখ টাকা।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ। এছাড়া জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউনিডো, বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি রেপ্রেজেন্টেটিভ ড. জাকিউজ্জামান এবং বিশেষজ্ঞ মো. মাহবুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজিম হাসান সাত্তার। উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা খান, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং মো. আব্দুস সালাম সরদার।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার অভাবে বাড়ছে দূষণ। বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের প্রতিবেদন বলছে, দেশে বছরে ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্যের মধ্যে পুনর্ব্যবহার হয় শতকরা মাত্র ৩১ ভাগ।
শুধু ঢাকায়ই প্রতিদিন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয় সারা দেশের শতকরা ১০ ভাগ বা ৬৪৬ টন। পুনর্ব্যবহার হয় শতকরা মাত্র ৩৭ ভাগ। সরকারের জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে এসএমই ফাউন্ডেশন সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসএমই ফাউন্ডেশন উদ্যোক্তাদের দিচ্ছেন নানাধরণের নীতি ও আর্থিক সহায়তা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারা দেশের আবেদনকারী উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে নারী, শিক্ষার্থী, গবেষক, বেসরকারি সংস্থা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতের উদ্যোক্তাদের প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচিত হবে ২৫ জন। প্রত্যেককে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
নির্বাচিত ২৫ জন উদ্যোক্তা মেন্টরশিপ প্রশিক্ষণ শেষে ইউনিডো, বাংলাদেশ, অর্থ, পরিকল্পনা, শিল্প, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ডের কাছে তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন।
৭ জন উদ্যোক্তাকে ২ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেয়া হবে। এরপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৫ জন উদ্যোক্তাকে ৩ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেয়া হবে।
- চলে গেলেন একজন সফল মানুষ
- সমবায়ে দুর্দিন
- শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- ঋণ ফেরত দিতে পারছে না ৬৩ ভাগ মানুষ
- দারিদ্র্য নির্মূলে বহুমুখী গ্রাম সমবায় সমিতি গড়ে তুলুন
- বিদেশেও সংকটে ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম
- কমছে এনজিও সহায়তা, ছাঁটাই হচ্ছে জনবল
- ‘অটিজম আক্রান্ত শিশুদের আঘাত করবেন না’
- প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিযোগিতা, পুরস্কার