ঢাকা, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ || ১৬ ভাদ্র ১৪৩২
Biz Barta :: বিজ বার্তা
Place your advertisement here

রাষ্ট্র ব্যর্থ হওয়ায় কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে বিদেশিদের নজরদারি

বিজবার্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২৫  


রাষ্ট্র ব্যর্থ হওয়ায়, পোশাক খাতের কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে নজরদারি বাড়িয়েছে বিদেশি মহল। স্বাধীন দেশের শিল্পের জন্য যা লজ্জাজনক। শ্রম অধিকার এখন মানবাধিকার প্রশ্ন। শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়। 

 

শনিবার সকালে রাজধারী তোপখানা রোডের একটি হোটেলে হিউম্যান রাইটস ডিউ ডিলিজেন্সস বিষয়ে সংবাদ কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এমন কথা উঠে আসে।

 

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ বা বিলস মন্ডিয়াল এফএনভি-এর সহায়তায় দুই দিনের এই কর্মশালায়, উঠে আসে পোশাক খাতের শ্রম অধিকার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা দিক।

 

বক্তারা বলেন, পোশাক খাতের ২০ শতাংশ কারখানায় এখনও ন্যূনতম বেতন কার্যকর করেনি। এসব কারখানা বিজিএমইএ বা বিকেএমইএর সদস্য ভূক্ত নয়। তবে, এসব কারখানাও রপ্তানি করে।

 

বলা হয়, জার্মানীসহ ইইউ দেশগুলোর সরবরাহ চেইনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে আইনী সুরক্ষা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে শ্রমিকের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে ২০২৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পে ক্রয় আদেশ কমে যাবার আশংকা রয়েছে। এক্ষেত্রে মালিক, শ্রমিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। 

 

জানানো হয়, শ্রমিক ও ব্যবসাকে টেকশই করতে দরকার সঠিক নীতি গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন। লিড সার্টিফিকেট পাওয়া অনেক কারখানা আছে, যারা এখনও শ্রম সুরক্ষায় উদাসিন। বাংলাদেশ তুলনামূলক কমদারি পণ্য উৎপাদন করে। ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের কারণে এই সময়ে তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থায় আছে বাংলাদেশ। তবে তা ধরে রাখা কঠিন।

 

বক্তারা বলেন, ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকায় কারখানা হচ্ছে। দূষণ হচ্ছে পরিবেশ। কিন্তু বিকেন্দ্রিকরণ করার ক্ষেত্রে সরকারের কঠোর অবস্থান নেই।

 

কর্মশালা উদ্বোধন করেন, বিলস-এর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নইমুল আহসান জুয়েল। বক্তব্য রাখেন, মনডিয়াল এফএনভির কনসালট্যান্ট মো. শাহিনুর রহমান, কাজী আব্দুল হান্নান, জাকির হোসেন, মোতাহার হোসেন, মো. ইউসূফ আল-মামুন।  


Place your advertisement here
Place your advertisement here
Place your advertisement here