বর্ষায় ভ্রমণ, ১০ পরামর্শ
বিজবার্তা রিপোর্ট :
প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৫

দিন দিন বর্ষাকাল হয়ে উঠছে প্রিয় ভ্রমণকাল। এ সময় পাহাড় যেমন হয়ে ওঠে সবুজ, তেমনি সমুদ্র আরও উদ্দাম। ভ্রমণের পরিকল্পনার সময় কিছু বিষয় জানা জরুরী।
ভারী বর্ষণ ও ভূমিধস পূর্বাভাস, বন্যা পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য জেনে নিয়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন। যেখানেই যান রেইনকোট, ছাতার সঙ্গে শুকনা কাপড় রাখুন। দ্রুত শুকিয়ে যায় এমন কাপড় সঙ্গে নিন।
পাহাড়ে ভ্রমণে গেলে পানি ও পাথরের পথে হাঁটার উপযোগী জুতা পরুন। গহিন পাহাড়ে গেলে স্থানীয় অভিজ্ঞ গাইড নিন। তাঁদের নির্দেশনা মানুন। তাঁরাই পাহাড়ি পথে দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলতে সহায়তা করবেন। জলপ্রপাতে নিরাপদে থাকতে পরামর্শ দেবেন।
এ সময় পাহাড়ে গেলে জোঁকের দেখা মিলবেই! মোজার ভেতর পায়জামা বা প্যান্ট গুঁজে নিতে পারলে জোঁকে ধরার ঝুঁকি কম থাকে। তবে ঝিরিপথে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা সম্ভব না-ও হতে পারে। তাই জোঁকে ধরার ঝুঁকি থেকেই যায়। জোঁকে ধরলে তা সরাতে কাজে লাগাতে পারেন শক্ত কাগজ।
বর্ষায় জলপ্রপাতের ঢালগুলো পিচ্ছিল হয়ে থাকে। এসব ঢাল বেয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করবেন না। সামন্য ভুলে পা পিছলে পড়ে গিয়ে ঘটতে পারে মারাত্মক কোনো দুর্ঘটনা।
জলপ্রপাতের নিচের কূপগুলো নিরাপদ নয়। অগভীর হলেও সাঁতার না জানলে এসব কূপে নামবেন না। রাতে যেখানে থাকবেন, সেখানে মশারির ব্যবস্থা আছে কি না, নিশ্চিত হয়ে নিন। প্রয়োজনে মসকিউটো রিপেল্যান্ট ব্যবহার করুন। প্যারাসিটামলসহ প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সঙ্গে রাখুন।
সমুদ্রে নামার আগে জোয়ার-ভাটাসহ আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থা জেনে নিন। সৈকতে লাল নিশান চিহ্নিত পয়েন্টে কোনোভাবে গোসলে নামবেন না। সাঁতার না জানলে সমুদ্রের পানিতে নামার সময় অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরে নিন। সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা লাইফগার্ডের নির্দেশনা মেনে চলুন।
টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন, সেসব দেখে নিন। হাউসবোটে লাইফ জ্যাকেট আছে কি না, দেখে নিন। প্লাস্টিকের পণ্য বর্জন করুন। হাওরে উচ্চ শব্দে গানবাজনা, মাছ ধরা, শিকার বা পাখির ডিম সংগ্রহ থেকে বিরত থাকুন।