শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১  

কর কাঠামোতে নানা ছাড়  

বিজবার্তা রিপোর্ট :

বিজ বার্তা

প্রকাশিত : ০৫:২০ পিএম, ১০ জুন ২০২০ বুধবার

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কর কাঠামোতে আসছে পরিবর্তন। কর্পোরেট কর হারে দেয়া হতে পারে ছাড়। ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমাও বাড়ছে, থাকছে শুধু কর দিয়ে শর্তহীন অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ। মোবাইল খাতে বসানো হতে পারে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। স্থানীয় পর্যায়ে সিগারেট ও টোবাকো শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকতে পারে।

 

নতুন করে কোন কর বা করহার বাড়ছে না। তবে, নন লিস্টেট কোম্পানির কর্পোরেট কর কমানো হচ্ছে বর্তমানের চেয়ে আড়াই শতাংশ। উচ্চ বিত্তের কাছ আদায় বাড়াতে সারচার্য বাড়ানো হতে পারে। যারা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেবেন তাদের কর রেয়াত সুবিধা দেয়া হবে। আমদানির ক্ষেত্রে বিলাস ও অপ্রয়োজনীয় পণ্যে আমদানি নিরুৎসাহিত করতে কিছু পণ্যে শুল্ক বাড়ানো হবে। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে সিগারেট ও টোবাকো শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকবে।

 

এনবিআর সূত্র জানায়, বাজেটে ব্যক্তিগত গাড়ি রেজিস্ট্রেশনে অগ্রিম আয়কর বাড়ানো হচ্ছে। ১৫০০ সিসির কম গাড়ীর জন্য ২৫ হাজার টাকা, ১৫০০ থেকে ২০০ সিসি গাড়ীর জন্য ৫০ হাজার টাকা, মাইক্রোবাসের জন্য ৩০ হাজার টাকা অগ্রিম কর বাড়াতে চায় সরকার। অন্যান্য সিসির গাড়ীর ক্ষেত্রেও বাড়ছে অগ্রিম কর।

 

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিতে চায় সরকার। বর্তমানে শিল্প ও ফ্লাট কেনার ক্ষেত্রে কর এবং জরিমানা দিয়ে অর্থ সাদা করা যায়। কিন্তু করোনাকালীন এই সময়ে শুধুমাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে জরিমানা ছাড়া বিনাশর্তে অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ দেয়া হবে। বাড়বে ক্ষেত্রও। এই মেয়াদ আগামী দুই বছরের জন্য দিতে চায় সরকার।

 

ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় বাধা উচ্চ কর্পোরেট ট্যাক্স। তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে ২৫ শতাংশ এবং তালিকা বহির্ভূত কোম্পানিকে কর দিতে হচ্ছে ৩৫ শতাংশ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ হার সাড়ে ৩৭ এবং ৪০ শতাংশ। সব ধরনের কর্পোরেট কর ৫ শতাংশ কমানোর দাবি ব্যবসায়ীদের। সার্বিক দিক বিবেচনা করে কর্পোরেট কর শ্রেণী ভেদে হার ৫ শতাংশ কমিয়ে আনার চিন্তা করছে সরকার।

 

গেল ৫ বছর ধরে এক জায়গায় স্থির হয়ে আছে, ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তার পর আর কোন পরিবর্তন করা হয়নি। করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ চাকরীজীবী, পেশাজীবী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে এটি বাড়ানোর দাবি উঠেছে। এনবিআর সূত্র জানায়, আগামী বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হতে পারে ৩ লাখ টাকা। নারী, প্রবীণ নাগরিক এবং প্রতিবন্ধীদেরও করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হবে।

 

বাজেটে টেলিকম খাত থেকে অতিরিক্ত রাজস্ব আয়ের পরিকল্পনা করছে সরকার। এই খাতে আরোপ হতে পারে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। এতে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস এবং ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অপারেটদের হিসাব বলছে, করোনার এই সংকটে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে ৩০ শতাংশ। বিপরীতে ভয়েস কল কমেছে ২০ শতাংশ।