শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১  

করোনা- বাড়ছে দারিদ্র্য

বিজবার্তা রিপোর্ট :

বিজ বার্তা

প্রকাশিত : ০৫:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২০ শুক্রবার

বন্ধ হয়েছে গেছে শিল্প উৎপাদনকোন কর্মসংস্থান নেই, বাড়ছে বেকারত্। আয় না থাকায় নিত্য দিনের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না বড় সংখ্যাক মানুষ। সংকটের মধ্যেও সহায়তা কর্মসূচীর বাইরে রয়েছে নিম্ন এবং নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণী 

 

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা, পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, দারিদ্র্যের হার এখন ৪০ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষই এখন তাদের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। তবে, তিনি মনে করেন, সংকট কেটে গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকার যদি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তাহলে আবার দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দ্রুতই আগের জায়গায় চলে আসবে। সেক্ষেত্রে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করাটা হবে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

 

উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এর চেয়ারম্যান এবং পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান মনে করেন, দরিদ্র মানুষে অতিদরিদ্র হচ্ছে, আর যারা দারিদ্র্যসীমার একটু উপরে বসবাস করতো, তারা এখন দরিদ্র। বলেন, মূল কারণ, শহুরে দরিদ্র মানুষদের আয় গেল ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় ৮২ শতাংশ কমে গেছে। আর গ্রামের দরিদ্র মানুষের আয় কমেছে ৭৯ শতাংশ। আর আয় কমার কারণে চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।

 

২০১৯ সালের প্রাক্কলিত হিসাব অনুযায়ী দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে২০০০ সালে দেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ২০ বছরে ৩০ শতাংশ মানুষকে দারিদ্র্যসীমার নিচ থেকে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব হয়। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মাত্র এক মাসের লক ডাউনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে দারিদ্র্য জয়ের অর্জন। বড় সংখ্যাক মানুষকে আবার কতোদিনে দারিদ্র্যসীমার বাইরে নেয়া সম্ভব হবে তা কেউ জানে না।

 

মূলত দারিদ্র্য পরিমাপের কৌশল হিসেবে ভোগ অভ্যাস এবং ব্যয়ের মধ্যে সমন্বয় করে একটি খাদ্য তালিকা চিহ্নিত করা হয় এক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রতিদিন ২,১১২ কিলো ক্যালরি এবং ৫৮ গ্রাম প্রোটিন সরবরাহ করতে পারে তারাই দারিদ্র্যসীমার উপরে বসবাস করে। কিন্তু এই সংকটের সময় বড় সংখ্যাক মানুষের কোন ধরণের চাহিদাই পূরণ হচ্ছে না।

 

করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে লকডাউন অবস্থায় নিরন্ন মানুষদের সহায়তায় রেশন কার্যক্রম শুরু করবে সরকার। বড় সংখ্যাক মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, আয়ের সব উৎস বন্ধ থাকায় সংকট তীব্র হচ্ছে।