বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১  

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় পেছাল বাংলাদেশ

বিজ বার্তা

প্রকাশিত : ০৬:২৭ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

বিজবার্তা রিপোর্ট :

গেল বছর অবস্থান ছিল ১০৩। এবার দুই ধাপ অবনতির পর অবস্থান ১০৫। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে দুই ধাপ পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ। ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের এবার এই অবস্থান। সক্ষমতা সূচকে এবার যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে শীর্ষে সিঙ্গাপুর। 

মূলত একটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিবেশ কতটা সহায়ক এবং প্রতিযোগিতায় সক্ষম, সেটাই এই সূচক দিয়ে বোঝানো হয়। ২০১৮ সালে বিভিন্ন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিবেশ কতটা প্রতিযোগিতা সক্ষম ছিল, তা-ই এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

বুধবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, ডব্লিউইএফ সারা বিশ্বে একযোগে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বা গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস রিপোর্ট (জিসিআর) প্রকাশ করেছে। ডব্লিউইএফের পক্ষে বাংলাদেশে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ, সিপিডি এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এ উপলক্ষে রাজধানীতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এই প্রতিবেদন তৈরিতে ১২টি সূচক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এসব সূচকের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০টিতেই পিছিয়েছে। মাত্র দুটিতে এগিয়েছে। যেসব সূচকে বাংলাদেশ পিছিয়েছে, সেগুলো হলো সামষ্টিক অর্থনীতি, শ্রমবাজার, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, অবকাঠামো, দক্ষতা, প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ব্যবসায় বৈচিত্র্য, উদ্ভাবন এবং বাজারের আকার। অন্যদিকে এগিয়েছি মাত্র পণ্যবাজার ও স্বাস্থ্যসূচকে।

প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় বাংলাদেশ চতুর্মুখী সমস্যায় আটকে গেছে। একদিকে অবকাঠামো তৈরি করতে হচ্ছে, আবার দক্ষ মানবসম্পদ গঠনের কথাও চিন্তা করতে হচ্ছে। এ ছাড়া সুশাসনের অভাবও আছে। তিনি বলেন, বড় ধরনের সংস্কার করা না হলে উন্নত দেশ বা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়া কঠিন হবে।

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে এবার যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে শীর্ষ স্থান নিয়েছে সিঙ্গাপুর। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও হংকং।

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচক প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে সিপিডি প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ ব্যবসায় পরিবেশ সমীক্ষা ২০১৯ করেছে। আজ সেটিও প্রকাশ করা হয়। এই সমীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের ৭৭টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ওপর জরিপ করা হয়। 

সুশাসন সম্পর্কে জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, ৭৮ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, সরকারি ঠিকাদারি কাজ পেতে ঘুষ দিতে হয়েছে। ৭৬ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পরিচালনায় ঘুষ দিয়েছেন। ৭৪ শতাংশই কর পরিশোধের সময় ঘুষ দিয়েছেন।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য যদি একটি বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে থাকে, তাহলে একচেটিয়া হয়। এটি অর্থনীতির জন্য ভালো নয়। একক ব্যবসায়ীর হাতে যদি একটি ব্যবসা খাত থাকে, তাহলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ওই ব্যবসা খাতে আসতে পারেন না। ভোক্তাকে বেশি দাম দিয়ে ওই পণ্য বা সেবা কিনতে হয়।