শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১  

জনসনের পাউডার পরীক্ষা করবে বিএসটিআই

বিজবার্তা রিপোর্ট

বিজ বার্তা

প্রকাশিত : ০৪:০৬ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার

ঢাকা : মান নিয়ে বির্তক তৈরী হওয়ায় জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার পরীক্ষা করবে বিএসটিআই। বাংলাদেশের বাজারে জনসন অ্যান্ড জনসনের যে বেবি পাউডার বিক্রি হয়, তাতে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদান আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখবে দেশের মান নিয়ন্ত্রককারী এই সংস্থা। ওই পাউডারে ক্ষতিকারক অ্যাজবেস্টস আছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য দেশের পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।

তবে, এতে সন্তুষ্ট না হলে, প্রয়োজনে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেবেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক এই কোম্পানির শিশুদের তৈরি সাবান, শ্যাম্পু, লোশন ও পাউডারসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়। অনেক বাবা-মা নিরাপদ মনে করেই তাদের সন্তানদের জন্য জনসনের পণ্য কেনেন। বিশ্লেষকরা জাজান, পাউডারের বিভিন্ন খনিজ উপাদানের মধ্যে দূষণ আকারে অ্যাজবেস্টস যুক্ত হয়ে যেতে পারে। এটি কেউ ইচ্ছা করে যোগ করে না। এই এসবেস্টাসকে ক্যান্সারের কারণ হিসাবে দেখা হয়।

কোনো পণ্যের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সেটা অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখা উচিৎ। এক্ষেত্রে বিএসটিআই যদি কোনো উদ্যোগ নেয়, তাতে সহযোগিতা বাংলাদেশে জনসন অ্যান্ড জনসনের পণ্যের পরিবেশক এমএফ কনজ্যুমার্স। বাজারে জনজন অ্যান্ড জনসনের অনেক নকল পণ্য থাকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি করেন এমএফ কনজ্যুমার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসরিন আউয়াল।

জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এক মামলার রায়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত গত জুলাই মাসে ২২ জন নারীকে ৪৭০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত ওই নারীরা মামলায় অভিযোগ করেন, কয়েক দশক ধরে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার ও অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করায় তারা এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অভিযোগকারী ২২ নারীর মধ্যে ছয় জন ক্যান্সারে ভুগেই মারা যান।

গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে বেশ কয়েক দফা পরীক্ষায় অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি ধরা পড়লেও তা গোপন করে বিক্রি চালিয়ে গেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভারতের মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেখানে জনসন অ্যান্ড জনসনের কারখানা থেকে বেবি পাউডারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠায়। ভারতে উৎপাদিত ট্যালকম পাউডার বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপেও বিপণন করা হয়।