শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১  

কমছে এনজিও সহায়তা, ছাঁটাই হচ্ছে জনবল

বিজ বার্তা

প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, এনজিওখাতে কমছে অর্থসহায়তা। ধারাবাহিকভাবে একদিকে যেমন প্রতিশ্রুতি কমছে, একই সঙ্গে কমছে অর্থছাড়ও। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় পর্যায়ে, ছাঁটাই হচ্ছে জনবল।

বিরাট সংখ্যক পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতে আনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা, এনজিও। বিদেশি সহায়তায় হয়েছে প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ। তৈরী হয়েছে সচেতনতা। তবে, বৈশ্বিক নানাবিধ সংকটে দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে এনজিওখাতের কর্মকাণ্ড। ধারাবাহিকভাবে কমছে বিদেশি সহায়তা। বিশ্লেষনে দেখা যায়, কমেছে প্রতিশ্রুতি। আবার তাও পুরোপুরি ছাড় হচ্ছে না।

এনজিও ব্যুরো তথ্য মতে, ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি আসে ৬,৬০৩ কোটি টাকার। তবে, অর্থছাড় হয় ৫,৫৩৬ কোটি টাকার। পরের বছর ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৫,৭৭৩ কোটি টাকার প্রতিশ্রুতির বিপরীতে অর্থ ছাড় হয় ৪,০৯৭ টাকা। এবং ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ৬,২১৫ কোটি টাকার প্রতিশ্রুতির বিপরীতে অর্থ ছাড় হয় ৪,৯৩২ কোটি টাকা।

এনজিও সংস্থা প্রিপ ট্রাষ্ট এর নির্বাহী পরিচালক বলেন, চলতি অর্থ বছরে তার এনজিওতে অনুদান আসে দুই কোটি টাকার। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে। তবে, এখন পর্যন্ত নতুন প্রকল্পের আশ্বাস মেলেনি। তিনি বলেন, অর্থ প্রবাহ কম আসায় কর্মকান্ড সংকুচিত হচ্ছে। কাজের ধরণও পাল্টে যাচ্ছে।

সিপিডি’র রিচার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, অর্থসহায়তা এখন অন্য দেশে যাচ্ছে, বিশেষ করে আফ্রিকার দেশ এবং ইউরোপের দেশগুলোতে যেখানে শরনার্থী সংকট রয়েছে সেখানে অর্থ চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশে আগে যেসবখাতে অর্থ আসতো, এখন সেইসবখাতে টাকা আসছে না।

অর্থপ্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, এনজিও সংস্থাগুলো যে ধরণের কাজ করছে, তার অনেক কিছুই এখন সরকার করছে। ফলে উন্নয়নের স্বার্থে সরকারি ও বেসরকারিখাতে এক হয়ে কাজ করা জরুরী।

এনজিও বিষয়ক ব্যুরো প্রতিষ্ঠার পর ২৬ বছরে মোট অনুদান এসেছে প্রায় ৬০,৬০৩ কোটি টাকা। প্রকল্প সংখ্যা ছিল প্রায় ২৩ হাজার। প্রায় আড়াই হাজার এনজিওকে নিবন্ধন দিয়েছে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, তবে দেশে সক্রিয় এনজিও’র সংখ্যা পাচ’শ।