সোমবার   ১০ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২৬ ১৪৩২  

৩৯ টন নিষিদ্ধ ঘনচিনি আটক

বিজবার্তা রিপোর্ট

বিজ বার্তা

প্রকাশিত : ০৭:৩৮ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২৫ সোমবার

আমদানি নিষিদ্ধ ৩৯ মেট্রিক টন ঘনচিনি আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। চট্টগ্রামের অডিট, ইনভেস্টিনগেশন ও রিসার্চ- এআইআর টিম খালাসের শেষ মুহূর্তে পণ্য চালানটি আটক করে।

 

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এস.পি. ট্রেডার্স, ২১৮ মিটফোর্ড রোড, বংশাল, ঢাকা বিগত গেল ৪ অক্টোবর Polyaluminium Chloride ঘোষণায় চীন থেকে তিনটি কন্টেইনারে ৬৩ মেট্রিক টন পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করে।

 

চালানটি  খালাসের জন্য আমদানিকারকের পক্ষে সি বার্ড কর্পোরেশন, ২০০/বি জুবিলি রোড, চট্টগ্রাম কর্তৃক বিল অব এন্ট্রি নং ১৮২৮২৭৮, দাখিল করা হয়।

 

পণ্যচালানটি খালাসের জন্য ট্রাকে লোড করার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম কর্তৃক উক্ত পণ্যের খালাস স্থগিত করা হয়। গেল ২৮ অক্টোবর সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কায়িক পরীক্ষা করা হয় এবং পরীক্ষাকালে দুই ধরনের পণ্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায় যার নমুনা উত্তোলনপূর্বক কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রামের ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়।

 

রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে দুই শ্রেণির পণ্যের মধ্যে একটিতে ২৪  মেট্রিক টন Polyaluminium Chloride পাওয়া গেলেও বাকি ৩৯ মেট্রিক টন পণ্যকে ঘনচিনি হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক; যা সাধারণ চিনির চেয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কনডেন্সড মিল্ক এবং শিশু খাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এই ক্ষতিকারক কৃত্রিম উপাদানটি ব্যবহার করে থাকে।

 

ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘনচিনির দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য ক্যান্সারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর বিধায় সরকার আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুসারে পণ্যটিকে আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।