জাতিসংঘ মিশনকে বিজিএমইএ- ‘LDC উত্তরণে আমরা এখনও প্রস্তুত নই’
বিজবার্তা রিপোর্ট
বিজ বার্তা
প্রকাশিত : ০৭:১৯ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২৫ সোমবার
স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণে এখনও প্রস্তুত হয়নি বাংলাদেশ। পোশাক শিল্পে ক্রমবর্ধমান পরিচালন ব্যয় এবং অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা এখন প্রকট।
এলডিসি’র স্বাধীন মূল্যায়নে ঢাকায় আগত জাতিসংঘের মিশন, ইউএন-ওএইচআরএলএলএস-এর সঙ্গে পোশাক খাতের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর এক কৌশলগত পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সোমবার। সেখানে উদ্বেগ তুলে ধরেছে পোশাক খাতের এই শীর্ষ সংগঠন।
গুলশানস্থ ইউএন হাউজে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন বিকেএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান এবং বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল এন্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হোসেন মেহমুদ।
এছাড়া ছিলেন বিজিএমইএ এর পরিচালক ফয়সাল সামাদ, সাবেক পরিচালক শরীফ জহির এবং বিজিএমই এর সাবেক পরিচালক ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এফটিএ অ্যান্ড পিটিএ এর চেয়ারম্যান লুৎফে এম আইয়ুব।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন- ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল সময়কালে গ্যাসের মূল্য ২৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি এবং এপ্রিল ২০২৫-এ ক্যাপটিভ ও শিল্প খাতে যথাক্রমে ৪০ শতাংশ ও ৩৩.৩৩ শতাংশ এর মতো বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা উৎপাদনকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে আর্থিক চাপ। খেলাপি ঋণ ২৭ শতাংশ এবং ব্যাংক সুদের হার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় বেসরকারি বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করছে।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, লজিস্টিকস ক্ষেত্রেও রপ্তানিকারকরা তীব্র চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন। বন্দর কার্যক্রমে অস্বাভাবিক বিলম্ব ও অদক্ষতা থাকা স্বত্ত্বেও অক্টোবর ২০২৫ এ একধাপে চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি এবং সড়কপথে পরিবহণে দীর্ঘ সময় ব্যয় শিল্পের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
অধিকন্তু, ২০২৩ সালে ৫৬ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি, ২০২৪ সালে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯ শতাংশ করা এবং বিকল্প কোন সহায়তার ব্যবস্থা না রেখেই ৬০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা হ্রাস রপ্তানিমুখী এই খাতটিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রেতাদের মধ্যে আদেশ হ্রাসের প্রবণতা এবং সুচারু উত্তরণ কৌশল এর বাস্তবায়নে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, শিল্পের স্বল্প বৈচিত্র্যতা এবং কাঁচামালের আমদানিনির্ভরতা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ঝুঁকি।
