শুক্রবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২২ ১৪৩২  

মূল্যস্ফীতি কমলেও, ভোক্তার আক্ষেপ কমেনি

বিজবার্তা রিপোর্ট

বিজ বার্তা

প্রকাশিত : ০৪:২১ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

কমতির দিকে মূল্যস্ফীতি। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে অক্টোবর মাসের মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। যা গত সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। তবে, সরকারি খাতা কলমে মূল্যস্ফীতি কমলেও বাজারে তার প্রভাব নেই।

 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএসের তথ্য বলছে, অক্টোবর মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে বেশ খানিকটা। মাসটিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

 

গ্রাম ও শহর দুই অঞ্চলেই খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতিতে কমতির দিকে। তবে সাধারণ এবং খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমলেও অক্টোবরে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মাসটিতে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের মাস সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

 

অক্টোবরে জাতীয়ভাবে মূল্যসূচক কমলেও মাসটিতে শহর অঞ্চলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। অক্টোবরে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা আগের মাস সেপ্টেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

 

বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দামই অসহণীয়। পণ্য কিনতে হিমশীম অবস্থায় ভোক্তা। বলা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি স্তর করলেও পণ্যের দাম তেমন ভাবে কমেনি। শীতকালে সবজির দাম কম থাকে। কিন্তু এবার শীতকালিন সবজির দাম সহণীয় নেই।

 

বিশেষ করে মানুষের আয় বাড়েনি। কর্মসংস্থান নিশ্চিত না হবার কারণে মানুষ ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছে। মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নজর দেবার তাগিদ এসেছে। ভোক্তারা জানিয়েছে বাজারে কোন পণ্যের দামই সহণীয় নেই। আয়ের বড় অংশই শেষ হচ্ছে নিত্যপণ্য কিনতে।

 

সারাদেশের ৬৪টি জেলার ১৫৪টি হাটবাজার থেকে তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ এবং উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মূল্যস্ফীতি নিরূপণ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস।