ইতিহাস গড়া কে এই মামদানি?
বিজবার্তা রিপোর্ট
বিজ বার্তা
প্রকাশিত : ০৪:০১ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার
এ যেন এলেন, দেখলেন জয় করলেন। জোহরান মামদানি। ৩৪ বছরে পা দেয়া এই অভিবাসীই এখন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কের মেয়র।
ধনী গরিবের মধ্যে বৈষম্য হ্রাস, সবার জন্য গণপরিবহণ নিশ্চিত, বাড়ি ভাড়ায় নিয়ন্ত্রণ, ৫ বছরের নিচে শিশুদের জন্য সর্বজনীন শিশুসেবা। এমনসব প্রতিশ্রুতি দিয়েই জয় করেছে মানুষ মন।
নির্বাচনে তাঁর দেয়া অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার ইচ্ছাকে মানুষ গ্রহণ করে। বিশেষ করে অভিবাসীদের মধ্যে তৈরী হয় চাঞ্চল্য। জোহরান বলেন- ‘আমি অভিবাসী, আমি অভিবাসীর সঙ্গে আছি’।
প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ হিসেবে মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়ে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক প্রাণবন্ত প্রচারণার মাধ্যমে অল্প সময়েই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন মামদানি। তার সমর্থকদের মতে, তিনি শহরে এক নতুন প্রগতিশীল রাজনীতির প্রতিনিধি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় জন্ম নেওয়া মামদানি সাত বছর বয়সে পরিবারসহ নিউইয়র্কে পাড়ি জমান। তিনি ব্রঙ্কস হাই স্কুল অব সায়েন্স থেকে পড়াশোনা শেষে বোউডয়িন কলেজে আফ্রিকানা স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। কলেজজীবনে তিনি ‘স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন প্যালেস্টাইন’ নামের সংগঠনের ক্যাম্পাস শাখা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
২০২০ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে তিনি নির্বাচিত হন নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য হিসেবে। এখান থেকেই শুরু হয় তার রাজনৈতিক উত্থান। সাধারণ মানুষের সমস্যা, বিশেষত ভাড়া, গণপরিবহন ও শিক্ষা নিয়ে সরাসরি কাজ করে তিনি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
মামদানি নিউইয়র্ক-এ বহুসাংস্কৃতিক পরিচয়কে শহরের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্যের বার্তা হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এমনকি প্রচারণায় উর্দু, বাংলা, হিন্দি ও স্প্যানিশ ভাষায়ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন।
গেল মঙ্গলবারের মেয়র নির্বাচনে প্রায় ২০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন, যা ৫৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সবশেষ ফলাফলে দেখাযায়, সর্বোচ্চ ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মামদানি। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৫১।
মামদানির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো পেয়েছেন ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৯৫। আর ৭ দশমিক ১ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৩৭ ভোট।
