ইন্টারনেট থেকে সন্তানের নিরাপত্তা যেভাবে?
বিজবার্তা রিপোর্ট :
বিজ বার্তা
প্রকাশিত : ১২:৫৩ এএম, ১৬ জুলাই ২০২৫ বুধবার

সামাজিক মিডিয়া, গেম, ভিডিও দেখা, কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করা—এসবই এখন তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। এতে যেমন শিশুদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে, তেমনি বাবা-মায়ের জন্যও এটি নতুন ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রত্যেকটি বাবা-মা চায় তাদের সন্তানরা নিরাপদ, সচেতন এবং দায়িত্বশীলভাবে অনলাইনে সময় কাটাক, তবে এক্ষেত্রে তাদের গোপনীয়তা এবং তাদের প্রতি বাবা-মায়ের আস্থা রক্ষা করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, শিশুর সঙ্গে খোলামেলা এবং বিশ্বাসপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা। সন্তানকে বুঝিয়ে বলুন ইন্টারনেট ব্যবহার করা দোষের কিছু নয়, তবে নিরাপদ থাকার কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
বাবা-মা হিসেবে প্রযুক্তি সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করা উচিৎ। আপনি যদি বুঝতে না পারেন কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া কাজ করে বা কোন গেম বা অ্যাপ্লিকেশন তাদের ব্যবহার করতে হয়, তাহলে আপনার সন্তানের উপর নজর রাখা কঠিন হতে পারে।
একই সঙ্গে সন্তানকে ডিজিটাল ডিভাইসের প্রাইভেসি সেটিংস বুঝতে শেখান। কোনো ব্যক্তিগত তথ্য যেন তারা অপরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার না করে। তাদের শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে বলুন—পাসওয়ার্ড যেন অন্য কাউকে না দেয় এবং নিয়মিত পরিবর্তন করে।
অনেক ব্রাউজারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল বা সেফ ব্রাউজিং অপশন থাকে। এতে ক্ষতিকর কন্টেন্ট ব্লক করা যায় এবং শিশুদের জন্য নিরাপদ অনলাইন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা যায়। বেশ কিছু প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সফটওয়্যার পাওয়া যায়, যা আপনার সন্তানদের অনলাইন কার্যকলাপ ট্র্যাক করতে সাহায্য করে।
সন্তান কোন বয়সে কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে, তার জন্য স্পষ্ট নিয়ম তৈরি করুন। ১৩ বছরের নিচে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা উচিত নয়।
অনলাইনে বেশি সময় কাটানো শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই দৈনিক কতক্ষণ স্ক্রিনের সামনে থাকবে, তা নির্ধারণ করুন। শিশুর জন্য একটি সুনির্দিষ্ট ডিজিটাল সময়সূচি এবং সীমাবদ্ধতা তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সতর্কতা ও সচেতনতা গড়ে তুলুন: যদি কেউ অনলাইনে আপনার সন্তানকে অস্বস্তিকর কিছু বলে বা শেয়ার করে, তাহলে আপনাকে জানাতে উৎসাহিত করুন।