রোববার   ১৯ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ৪ ১৪৩২  

পানির দামে চামড়া, ফেলেও দিলেন কেউ কেউ

বিজবার্তা রিপোর্ট :

বিজ বার্তা

প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ১০ জুন ২০২৫ মঙ্গলবার

আড়তদার এবং ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেটে এবারও ধরাশায়ী মৌসুমী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। কৌশলে দাম কমিয়ে বাজারকে করা হয় বিশৃংখল।

 

রাজধানী বিভিন্ন এলাকায় পানির দামে বিক্রি হয়েছে চামড়া। ঈদের দিন কিছুটা বেশি দাম দেয়া হলেও তার পরের দুইদিন তেমন দাম পায়নি কেউ। বড় গরুর একটি চামড়া ঈদের দিন বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু পরের দুই দিন তা নেমে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। সুযোগ বুঝে অনেকে চামড়ার দাম বলেন ২০০ টাকা।

 

রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড়, নিউমার্কেট, গুলশান, পোস্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় চামড়া নিয়ে ঘুরেছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। কিন্তু মেলেনি কাঙ্খিত দাম। এবার ঢাকার মধ্যে লবণযুক্ত প্রতিপিস চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ১৩শ ৫০ টাকা। প্রতিবর্গফুটের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬৫ টাকা। সেই হিসাবে লবণ ছাড়া একেকটি চামড়ার দাম দাঁড়ায় ১ হাজার টাকার বেশি।

 

রাজধানীর চামড়ার সবচেয়ে বড় আড়ত পোস্তায় ঈদের পরদিন চামড়া ফেলে দিয়ে চলেগেছেন। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা জানান, একেকটি চামড়ার দাম বলা হয় ২০০ থেবে ৪০০ টাকা। ওই দামে বিক্রির চেয়ে ফেলে দেয়া ভালো।

 

ওদিকে আড়তদাররা বলেন, কাঁচাচামড়া কেনার পর তাতে লবণ এবং কেমিক্যাল খবর হয় অন্তত ৩০০ টাকা। তাদের দাবি মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চামড়া কিনে এনেছে। বেশি দামে চামড়া কিনলে টিকে থাকা যাবে না।

 

বাংলাদেশ হাইড এন্ড স্কিন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, এবার চামড়ার দাম বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই দামে চামড়া কিনে বিক্রি করা কঠিন। চামড়া খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে না করেই দাম নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়।

 

বাণিজ্য উপদেষ্টা রাজধানীর পোস্তায় চামড়া বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সেখানে সাংবাদিকদের জানান, বেঁধে দেয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে লবণযুক্ত চামড়া।

 

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে উপদেষ্টা বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া ন্যায্যমূল্য ক্রয়ের জন্য বিনামূল্যে সাড়ে সাত লাখ টন লবণ বিতরণ করা হয়েছিল। এ ছাড়া ৮৬ হাজার কসাইকে সরকার ট্রেনিং দিয়েছেন। চামড়াশিল্পে ২১৫ কোটি প্রণোদনা টাকা সরকারের ঈদের আগেই ছেড়ে দেয়া হয়।