ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Biz Barta :: বিজ বার্তা
Place your advertisement here

বাজারে উত্তাপ

বিজবার্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮  


ঢাকা : সরবরাহ বাড়লেও কমছে না সবজির দামের উত্তাপ। বলা হচ্ছিল, পণ্যের সরবরাহ বাড়লে দাম করবে। কিন্তু তার কোন লক্ষন নেই। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। সবজি বিক্রেতারা জানান, বাজারে যে পণ্যের চালান বেশি, তার দাম স্বাভাবিকভাবে কম থাকে। কিন্তু পাইকারি বিক্রেতারা দাম না কমালে আমরা কিভাবে কমাবো। পাইকারি বিক্রেতারাও কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।

বাজারে প্রতিকেজি টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ও কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, কাকরোল ৩৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাছাড়া বাজারে নতুন এসেছে পাতা পেঁয়াজ। যা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

এছাড়া বাজারে প্রতিপিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকায়, লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় এবং জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি কলমি শাক ও লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকায়, লাউ শাক ২০ থেকে ২৫ টাকায়, পালং শাক ও পুঁই শাক ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

ক্রেতারা জানান, বাজারে শীতকালীন সবজির চালান বেশি। তবুও দাম কমছে না। বিক্রেতাদের অনেক সবজি বিক্রি না হয়ে নষ্ট হচ্ছে। তবুও তারা দাম কমাচ্ছে না। এ অতিরিক্ত দাম যদি কৃষকরা পেতো তাহলে ভালোই হতো। 

এদিকে, সপ্তাহ খানেক আগে চালের দাম ৫ থেকে ৭ টাকা করে বেড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি সিরাজ মিনিকেট ও মিনিকেট চাল ৫৭ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। স্বর্ণ চাল ৩৮, মোটা চাল ৩৫, সাকি-২৮ ৪৪ থেকে ৫০, আমিন-২৮ ৪০ থেকে ৪৮, প্রতিকেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকায়, মসুর ডাল মোটা ৭০ টাকায়, মুগ ডাল ১২০ টাকায়, ভোজ্যতেল প্রতিলিটার খোলা ৯০ টাকায় ও বোতলজাত ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

আবার দাম কমেছে বাজারে আসা মৌসুমের নতুন আলু। প্রতিকেজি ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৫০ টাকা। এর আগে ছিলো ৬০ টাকা। তার আগের সপ্তাহে ৮০ থেকে ৯০ টাকা এবং শুরুতে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তাছাড়া প্রতিকেজি আদা ১৪০ টাকায়, রসুন ভারতীয় ৫০ টাকায় ও দেশি রসুন ৮০ টাকা, পেঁয়াজ (দেশি) ৪০ টাকা, ভারতীয় ৩০ টাকা এবং পুরানো আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে দামের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না মাছ-মাংসের বাজারে। তবে কৌশলে দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া মাছের বাজারে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। বাজারে প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জোড়া ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের হালি ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিজোড়া ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে মাছের আকারভেদে প্রতিকেজি টেংরা মাছ ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাঙ্গাস ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কৈ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ২৭০ থেকে ৩৫০ টাকা, নলা ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা ও রুই ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

তবে মাংসের বাজারে নেই অতিরিক্ত দামের প্রয়াস। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়, গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


Place your advertisement here
Place your advertisement here
Place your advertisement here
Place your advertisement here